শুভেচ্ছা বাণী
জেলা পরিষদ, চট্টগ্রামের ওয়েবসাইটে স্বাগতম। এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের কাজ সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
জেলা পরিষদ মূলতঃ জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকে। বর্তমানে জেলা পরিষদ তার কল্যাণমূলক কাজের ধারাবাহিকতায় সোয়া ‘শ’ বছর অতিক্রম করছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল পরবর্তীতে ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড এবং বর্তমানে জেলা পরিষদ নামে নীরবে জনকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছে। জেলা পরিষদের কাজের অধিত্রে মূলতঃ উপজেলাসমূহে। এছাড়া মহানগরেও স্বল্পসংখ্যক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, শিক্ষ প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন জেলা পরিষদের আবশ্যিক কাজের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া ঐচ্ছিক কাজের মধ্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সেবা গবাদি পশু-মৎস্য ও হাঁস-মুরগীর খামার, বৃরোপণ ও ফলের বাগান সৃজন ছাড়াও আয়বর্ধক বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প গ্রহণের এখতিয়ার জেলা পরিষদের রয়েছে।
জেলা পরিষদের সেবা কার্যক্রমের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা বর্তমানে পৃথক মন্ত্রণালয়ের মাধমে পরিচালিত হলেও পূর্বে জেলা পরিষদ-ই মূল চালিকাশক্তি ছিল। জেলা পরিষদের মালিকানাধীন জমিতে জেলা পরিষদ কর্তৃক পূর্বে প্রতিষ্ঠিত প্রাইমারী স্কুল এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো এখনো অধিকাংশই চালু রয়েছে। বর্তমানে কাজের পরিধি বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের মধ্যে উল্লেখিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে এখনো জেলা পরিষদের ঐচ্ছিক কার্যক্রমের মধ্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট যেমন সওজ, এলজিইডি, উপজেলা পরিষদ যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করে না, জেলা পরিষদ সে সমস্ত কাজ-ই বাস্তবায়ন করে। বিগত জানুয়ারী ২০০৯ সন হতে অদ্যাবধি চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ গতানুগতিক ধারার বাইরে বেশ কিছু সৃজনশীল ও ভিন্নধর্মী কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
যেমন :-
১। দারিদ্র বিমোচনের ল্যে নারী ও পুরুষের প্রশিক্ষণ প্রদান।
২। অসহায়-বেকার-অস্বচ্ছল নারী ও পুরুষদের স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিণ প্রদানের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ।
৩। দরিদ্র নারী ও পুরুষের প্রস্তুতকৃত সামগ্রী প্রদর্শনী ও বিপণনের জন্য সেলস্ সেন্টার ও শো রুম নির্মাণ ও বিপণনের ব্যবস্থা গ্রহণ।
৪। অবৈধ দখল হতে ভূমি উদ্ধার পূর্বক ডেইরী ও পোল্ট্রি ফার্ম নির্মাণ ও ভাড়ায় দেয়া।
৫। অবৈধ দখল হতে ভূমি উদ্ধার কৃষক-কৃষাণী প্রশিণ কেন্দ্র নির্মাণ।
৬। জেলা পরিষদের বেহাত সম্পত্তি উদ্ধারপূর্বক মার্কেট, কমু্যনিটি সেন্টার, অডিটোরিয়াম নির্মাণ ও জমি লীজ প্রদান।
৭। সোলার এনার্জির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
৮। কোল্ড স্টোরেজ, রেইন ওয়াটার হারভেস্ট, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, দেশীয় ফলের বাগান সৃজন।
৯। প্রায় প্রতিটি উপজেলায় পাবলিক লাইব্রেরী নির্মাণ।
১০। বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ ইত্যাদি।
উল্লেখিত গতানুগতিক ও সৃজনশীল কাজসমূহ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্যে হলো –
_উৎকর্ষতা, _সৃজনশীলতা, _টেকসই উন্নয়ন, _লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার, _জনসাধারণের সমস্যা লাঘবকরণ, _দারিদ্র বিমোচন, অসহায় নারীদের স্বাবলম্বী করা, সর্বোপরি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ।
আমরা বিশ্বাস করি ” SMART” নীতিতে। অর্থাৎ কাজের গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে
S – Specific.
M – Measurable.
A – Accountable.
R – Realistic.
T – Time Bound.
করার জন্য সর্বান্তকরণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এতদসত্ত্বেও কোন অনিয়ম, গাফেলতি, দীর্ঘসূত্রিতা বা কোন ভুল-ভ্রান্তি তথা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি পরিলতি হলে তা আমাদের অবহিত করার জন্য সাদরে আমন্ত্রণ জানাই। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ শতভাগ সততা, আন্তরিকতা ও স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী। দুর্নীতিমুক্ত, গণমুখী সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে জনসাধারণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। এ অভীষ্ট লক্ষ্যে পোঁছানোর জন্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সকলের সহযোগিতা কামনা করে।
ধন্যবাদান্তে-
মুহাম্মদ আনোয়ারা পাশা
চেয়ারম্যান
জেলা পরিষদ, চট্টগ্রাম।